মোঃ আরিফ হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে পুলিশের দুই মামলায় বিএনপির আরও সাত নেতার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতের বিচারক ফারহানা ভূঁইয়া এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান অভি, যুগ্ম-আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন রনি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক কাউসার হোসেন, সদর (পশ্চিম) উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাকির হোসেন, পার্বতীনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মুরাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মুশফিক মাহমুদ সাদনান ও চররমনী ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী বোরহান ভাণ্ডারী।
জেলা ছাত্রদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক ফারহান উদ্দিন সিফাত বলেন, ছাত্রদল নেতা অভিসহ সাতজন ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন উচ্চ আদালত। তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই তারা লক্ষ্মীপুর আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপির ৭ নেতাকর্মী জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও সজিব হত্যার ঘটনায় সদর মডেল থানায় ১৯ জুলাই রাতে চারটি মামলা করা হয়। এরমধ্যে সজিবের মেজো ভাই মো. সুজন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন। মজুপুর এলাকায় কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম নুরুল আমিন রাজুর বাসভবনে হামলা ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি নিজেই ৩০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেছেন।
এছাড়া দায়িত্ব পালনে বাধাসহ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। এ মামলাতেও বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।