মাদারিপুরে ডেঙ্গু রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর মানুষ এখন ছুটছেন হাসপাতালগুলোতে – কেউ রোগী হিসেবে ভর্তি হতে, কেউবা ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে।
তবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হবার ভয় এখন শুধু সাধারণ মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে হাসপাতালের ডাক্তার আর নার্সদের মধ্যেও।
হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট, প্রতি মুহূর্তেই রোগী আসছেন হাসপাতালে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। হাসপাতালের বারান্দায়ও রোগীদের ঠাই হওয়া মুশকিল। হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার এবং নার্সরা এখন বিপুল সংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
মোঃ আজিজ হাওলাদার বলেন আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি ডায়রিয়া নিয়ে দুইদিন পর আমার শরীর জ্বর আসে আমি পরীক্ষা করে দেখি আমি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত আমরা খুবই আতঙ্কিত আছি ডেঙ্গু রোগী এবং সাধারণ রোগীদের আলাদা ওয়ার্ড দেয়া উচিত ছিল।
রাজিবুল আলম শাওন বলেন হাসপাতালে ও ফার্মেসিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ এনএস নরমাল স্যালাইন না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পরতে হয়েছে কিন্তু কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও তা বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে।
মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান সমন্বয়ক ডা. ইকরাম হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৫৯ জন। এ নিয়ে জেলায় ৮৭৩ জন আক্রান্ত হলো। আর চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৫৮ জন, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন ১১৪ রোগী। মোট আক্রান্তের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৫৭ জন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সর্তক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
মাদারিপুর সিভিল সার্জন ডঃ মুনির আহমদ খান বলেন জনবল সংকট থাকার পরও আমরা রোগীদের সেবা দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি আশা করছি ডেঙ্গু মোকাবেলা করতে আমরা সক্ষম হব।