এক শতাব্দীর মধ্যে এ দেশের মানুষ তিন-তিনবার দেশ বদল হতে দেখেছে। দেশ বদলের পাশাপাশি ডজন-ডজনবার সরকার বদল হয়েছে। মানুষের প্রশ্ন, দেশ বদল হয়, সরকার বদল হয়—তবুও কোন কিছুতেই মানুষের অবস্থার কোনো বদল হয় না কেন? অবস্থার বদল যে একেবারেই হয় না, তা নয়। তবে অবস্থার কোনো মৌলিক উন্নতি হয় না। দারিদ্র্য, বৈষম্য, দুঃসহ জীবন যন্ত্রণা, নিত্যদিনের অনিশ্চয়তা, এক শ্রেণির মানুষের শোষণ, লুটপাট, ঘুষ-দুর্নীতি, সন্ত্রাস, সরকারের দমন-পীড়ন, সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ফাালন, সাম্রাজ্যবাদের শোষণ-ডিকটেশন—এসবের অবসান হওয়ার কোনো তাত্পর্যপূর্ণ লক্ষণ কখনোই উদয় হয় না। একবার হয়েছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পরে। কিন্তু সে আলোকিত ধারা সহসাই নিভে যায়। কেন এমনটা ঘটে চলেছে যুগ যুগ ধরে?
বাংলাদেশের রাজনীতির অন্তহীন অস্থিরতা, বিরামহীন নৈরাজ্য ও ক্রমাগত অনিশ্চয়তা দূর হোক,—তা কে না চায়। কিন্তু, প্রায় শতভাগ মানুষ তা চাইলেও রাজনীতির সেই অস্থিরতা, নৈরাজ্য ও অনিশ্চয়তার অবসান ঘটার কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মানুষ বার বার আশায় বুক বাঁধে। প্রতিবার যখন ক্ষমতার হাত বদল হয়, নতুন কোনো শক্তি গদিতে আসীন হয়, মানুষ প্রত্যাশা করে যে, এবার হয়তো অবস্থার হেরফের হবে। রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু তাদের সেই আশা পূরণ হয় না। গদির বদল হলেও রাজনীতির রুগ্নতার ক্ষেত্রে কোনো উন্নতি ঘটে না। কেন এমন হয়?
অনেকেই ভাবেন যে, গোটা বিষয়টি হলো সুশাসনের অভাবজনিত সমস্যা। সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলেই দেশের রাজনীতিতে বিদ্যমান অস্থিরতা, নৈরাজ্য ও অনিশ্চয়তার উপাদানগুলো এভাবে আর থাকবে না। আর, সুশাসনের জন্য যা প্রয়োজন তা হলো সুশীল ব্যক্তিদের নিয়ে সরকার গঠন করতে পারা। যে কোনো উপায়ে সরকারের ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বে এ ধরনের সুশীল মানুষদের বসাতে পারলেই সুশাসন নিশ্চিত হবে। সুশাসন নিশ্চিত হলেই রাজনীতিতে প্রশান্তি, স্থিতিশীলতা ও সুস্থ ধারাবাহিকতা ফিরে আসবে। যুক্তি অতি সরল। কিন্তু সরল মনে হলেও যুক্তির এই সরল সমীকরণের মাঝে ফাঁক রয়েছে বিস্তর।
রাজনীতির অবক্ষয় ও রুগ্নতার সমস্যাটি দু’কারণে সৃষ্টি হতে পারে। বিষয়টি এমন হতে পারে যে, প্রচলিত আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারার কারণেই যাবতীয় সমস্যার উদ্ভব ঘটছে। প্রচলিত ‘সিসটেম’ বা ‘ব্যবস্থাকে’ আরো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারলেই ‘সিসটেমের’ সুফলগুলো পাওয়া যেতো। সমস্যাটি ‘সিসটেমের’ অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বিরাজ করে না, সমস্যার কারণ হলো ‘সিসটেমের’ সুষ্ঠু পরিচালনার। ‘সিসটেম’ বলতে এক্ষেত্রে দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক-সামাজিক-রাজনৈতিক ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে। একথা মনে রাখতে হবে যে, একটি দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থাগুলো পরস্পর পরস্পরের সামঞ্জস্যপূর্ণভাবেই প্রতিষ্ঠা পায়। অসামঞ্জস্য সৃষ্টি হলে তা মৌলিক ধরনের ‘সিসটেম বদলের’ ঘটনার জন্ম দেয়। তৈরি হয় নতুন বৈশিষ্ট্য ও চরিত্রের ভিত্তিতে নতুন ভারসাম্য (equilibrium)।
অন্যদিকে, রাজনীতির অবক্ষয় ও রুগ্নতা এ কারণেও সৃষ্টি হতে পারে যে, প্রচলিত ‘সিসটেমের’ অভ্যন্তরেই রুগ্নতা প্রবিষ্ট রয়েছে। ‘সিসটেমের’ স্বরূপই হলো এমন যে, তা অবধারিতভাবে অবক্ষয় ও রুগ্নতার জন্ম দিতে থাকবে। সেক্ষেত্রে ‘সিসটেমের’ অধিকতর সুষ্ঠু পরিচালনা কেবল অবক্ষয় ও রুগ্নতাকেই বাড়িয়ে তুলবে। ‘রুগ্ন সিসটেমের’ সুপরিচালনা রুগ্নতাকেই বর্ধিত মাত্রায় পুনরুত্পাদিত করবে। ‘সিসটেমের’ মধ্যেই রোগ ঢুকে থাকায় তার পরিচালনায় সবলতা আনতে সক্ষম হলে তা সেসব ঢুকে থাকা রোগকেই আরো সবলভাবে উন্মোচিত করবে। কারণ সমস্যা হলো ‘ব্যবস্থাগত’ (systemic)।
দক্ষ-শাসন ও সুশাসন এক জিনিস নয়। কোনো একটি ব্যবস্থাকে দক্ষ বা অদক্ষ উভয়ভাবেই পরিচালনা করা যায়। ‘রুগ্ন সিসটেমের’ অদক্ষ-শাসন যে অবধারিতভাবে অপশাসনের জন্ম দিবে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। আর তার দক্ষ-শাসনের ক্ষেত্রে অপশাসন যে মাত্রায় আরেকটু বেশিই হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, ‘নিরোগ সিসটেমের’ অদক্ষ-শাসনও জনগণের জন্য কিছু না কিছু মৌলিক ধরনের সুফল বয়ে আনবে, আর তার দক্ষ-শাসনতো তা আনবে আরো বেশি মাত্রায়।
আমাদের দেশে চলছে ‘সাম্রাজ্যবাদ নির্ভর উন্মুক্ত ও অবাধ বাজার অর্থনীতির’ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় দেশের যে সম্পদ তৈরি হচ্ছে তার প্রায় অর্ধেকটাই জমা হচ্ছে বেআইনীভাবে মুষ্টিমেয় ব্যক্তির অপ্রদর্শিত আয় হিসেবে। এই সম্পদকেই প্রচলিত ভাষায় কালো টাকা বলা হয়। অর্থমন্ত্রী স্বয়ং বলেছেন যে, এই কালো টাকার পরিমাণ জিডিপির ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হওয়াটা অসম্ভব নয়। জিডিপির পরিমাণ যদি ১২ লক্ষ কোটি টাকা হয়, তা হলে অর্থমন্ত্রীর হিসাব মতো কালো টাকার পরিমাণ ৯ লক্ষ কোটি টাকার সমপরিমাণ হওয়াটা অসম্ভব নয়। এদিকে জিডিপির সিংহভাগও রয়েছে সেইসব কতিপয় বিত্তবানের হাতে। দেশে চলছে কল্পনাতীত বিশাল পরিমাণের আর্থিক কেলেঙ্কারি। তার মধ্য থেকে যে দু-চারটি জনসম্মুখে প্রকাশ পেয়েছে, তা থেকেই অনুমান করা যায় যে, বিপুল দারিদ্র্যের এই দেশে কিরূপ পাহাড় পরিমাণে লুটপাট চলছে।
চূড়ান্ত বিচারে রাজনীতি হলো অর্থনীতিরই ঘনীভূত প্রকাশ। ‘লুটপাটের অর্থনীতি’ তার নিজস্ব লজিকেই ‘লুটপাটের রাজনীতির’ জন্ম দিয়েছে। বাণিজ্যিক মূল্যবোধ সর্বত্র ব্যাপৃত হয়ে উঠেছে। রাজনীতিতে ঘটেছে বাণিজ্যিকীকরণ, ও তারই অনুসংগ হিসেবে দুর্বৃত্তায়ন। রাষ্ট্রক্ষমতাকে করে তোলা হয়েছে প্রধানতঃ লুটপাটের ব্যবস্থা চালু রাখার ও রক্ষা করার একটি যন্ত্র। নমিনেশন বাণিজ্য, ভোট বাণিজ্য, পদ বাণিজ্য, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, লোক সরবরাহের বাণিজ্য—এসব এখন রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের বড় দল বলে কথিত মূলধারার কায়-কারবার হয়ে উঠেছে। অপরাধী দুর্বৃত্ত ক্যাডার বাহিনী লালন করাটা রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার জন্য অপরিহার্য করে তোলা হয়েছে। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার প্রশ্নে যে দু’টি দল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, বর্তমানে প্রাসঙ্গিকতা বহন করে তারা উভয়ই এ ধরনের দুর্বৃত্ত ক্যাডার বাহিনী দিয়ে নিজ নিজ দলের পেশীশক্তিকে বাড়িয়ে তুলেছে। কোন্ দল এসব দুষ্কৃতিকারীদেরকে বেশি পরিমাণে পক্ষে টানতে পারলো তা নিয়ে চলছে দু’পক্ষের নিরন্তর প্রতিযোগিতা। চলতি ‘সিসটেম’ যতোদিন বহাল থাকবে, ততোদিন কোনো দলের পক্ষেই এসব অপশক্তিকে দল থেকে বিতাড়িত করার সুযোগ নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে তত্ক্ষণাত্ তারা বিপক্ষ দলের খাতায় নাম লেখাবে এবং সেখানে তারা সমাদরের সাথে স্থান করে নিতে পারবে। দুর্বৃত্তদের এরূপ দলবদল ঘটলে দলের পেশী শক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে এবং সেই দলের ক্ষমতার খায়েস বিলীন হয়ে যাবে। একদিকে দল দু’টিই ক্ষমতার লোভনীয় লালসার হাতে আজ জিম্মি। অন্যদিকে ক্ষমতায় যেতে পারার বিষয়টি দুর্বৃত্ত ক্যাডার বাহিনী দ্বারা পুষ্ট পেশী শক্তির হাতে জিম্মি। সেই বিবেচনায় গোটা রাজনীতি এখন এসব অপশক্তির হাতে জিম্মি।
পেশী শক্তির পাশাপাশি, বিপুল অর্থ-শক্তির সামর্থ্যের কাছেও ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারার বিষয়টিকে জিম্মি করে ফেলা হয়েছে। আগে বিত্তবান-ব্যবসায়ীরা টাকা দিয়ে রাজনীতিবিদদের বশে রাখার ব্যবস্থা করতো। সেই ‘মাধ্যমের’ মাধ্যমে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রিত রাখার মতো বেহুদা পদ্ধতি ব্যবসায়ীরা এখন আর অনুসরণ করে না। এখনকার ব্যবস্থা হলো সরাসরি নিয়ন্ত্রণের পথ। এখন সব কারবারই হলো ডাইরেক্ট। ব্যবসায়ীরা টাকার জোরে নমিনেশন কিনে নিয়ে পার্লামেন্টের বেশিরভাগ আসনে এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব বা উপদেষ্টা পর্যায়ের পদে অধিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়েছে। তাদের স্বার্থ রক্ষায় সামান্য এদিক-ওদিক করলেই তারা কলকাঠি নাড়াচাড়া শুরু করে দিবে। গণেশ উল্টিয়ে দেয়ার ক্ষমতা এখন তাদের নাগালের মধ্যে। তাই, কে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেয়ে তাদের লুটপাটের অবাধ কারবারে বাগড়া লাগাবে? প্রচলিত ‘সিসটেমে’ তা হবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলে নেয়ার প্রতিযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে চরম আত্মঘাতী।
চলতি রাজনীতিকে কতগুলো কাঠামোগত ব্যবস্থার মধ্যে আটকে ফেলা হয়েছে। সেসবের মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক উপাদান, রাজনৈতিক শক্তির বিন্যাস ও ভারসাম্য, পেশী শক্তি, অর্থ শক্তি, ক্যাডার বাহিনী, প্রচারণা ব্যবস্থার প্রবণতা, আমলাতন্ত্র, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর হালচাল ইত্যাদি। সবকিছু মিলেই গোটা ‘সিসটেমের’ চরিত্র ও স্বরূপ নির্ধারিত হয়। তার অর্থ এই নয় যে, ‘সিসটেমের’ মধ্যে সবকিছু অচল। ‘সিসটেমের’ মধ্যেই রয়েছে এক ধরনের স্বনিয়ন্ত্রিত সচল গতি। ‘সিসটেমের’ কাঠামোর মধ্যেই নানা বৈচিত্র্যপূর্ণ পরিবর্তন সংগঠিত করার সুযোগ রয়েছে। এমনকি সীমার মধ্যে ‘সিসটেমবিরোধী’ কিছু কিছু প্রতিবাদী উদ্যোগ ধারণ করার সক্ষমতাও সেই ‘সিসটেমের’ মধ্যেই রয়েছে। এসব হলো ‘সিসটেমের’ কাঠামোকে উপড়ে ফেলার বিপদ সৃষ্টি না করেই পরিচালিত ‘সিসটেমবিরোধী’ প্রয়াস। সীমা অতিক্রমের বিপদ টের পাওয়া মাত্র গোটা ‘সিসটেম’ তা রুখতে সবরকম শক্তিকে তার আত্মরক্ষায় নিয়োজিত করে প্রতিবাদকে চুরমার করতে নেমে পড়ে।
সুশাসন নিশ্চিত করার একটি পূর্বশর্ত হলো সত্ লোকের শাসন নিশ্চিত করা। কিন্তু ‘সিসটেম’ যদি রুগ্ন হয়, তাহলে তা কখনোই গোটা ব্যবস্থাকে সত্ লোকের নিয়ন্ত্রণে যেতে দিবে না। সেটা করতে দিলে গোটা ‘সিসটেমটাই’ কোলাপ্স করে যাবে। তাই ‘সিসেটম’ পরিচালনা কাঠামোতে সত্ লোক ঢুকে পড়লে তার ‘আক্রমণ’ থেকে ‘সিসটেমকে’ রক্ষায় স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ‘সিসটেমের’ মধ্যেই নির্মিত হয়ে আছে। সত্ লোককে সত্ থাকতে দেয়া হয় না, ‘রুগ্ন সিসটেমই’ তাকে অসত্ হতে বাধ্য করে। যদি ‘রুগ্ন সিসটেমের’ সাথে নিজেকে মিলিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কেউ আত্ম-প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে, তাহলে ‘সিসটেমই’ তাকে একঘরে ও কোয়ারেনটাইন করে রাখার ব্যবস্থা করে।
ঘুষের কারবারে আকণ্ঠ নিমজ্জিত অফিসে-প্রতিষ্ঠানে সত্ লোক টিকে থাকতে পারে না। তাকে টিকে থাকতে দেয়া হয় না। শরীরের রক্ত বিষাক্ত হয়ে গেলে তাতে সুস্থ রক্তকণিকার আগমনে যেমন হয় তাকেও রুগ্ন করে তোলে অথবা তা অসম্ভব হলে তাকে প্রত্যাখানের ব্যবস্থা করে, সমাজ ও রাজনীতিতে সেরূপই ঘটে। রুগ্ন ‘সিসটেমের’ মাটিতে সুশাসনের ফুল ফুটানো সম্ভব নয়। তাইতো যুগ যুগ ধরে সুশাসনের জন্য আহাজারি করেও তা আজও অধরাই থেকে যাচ্ছে। কারণ, যুগ যুগ ধরে প্রচলিত রয়েছে ‘রুগ্ন সিসটেম’।
তাই বলতে হয়, “সবার উপরে ‘সিসটেম’ সত্য, তাহার উপরে নাই”। ‘সিসটেম’ যদি ভালো হয়, তাহলে তার পরিচালনার জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব এবং তা নিশ্চিত করতে পারলে মানুষের অবস্থার মৌলিক অগ্রগতি সাধন করা সম্ভব হবে। কিন্তু ‘সিসটেম’ যদি রুগ্ন হয়, তাহলে তা সুশাসনের জন্ম দিতে অপারগ এবং তার ফলে মানুষের অবস্থার মৌলিক অগ্রগতি সাধনেও অসমর্থ।
‘দেশ বদল হয়, সরকার বদল হয়—অথচ মানুষের অবস্থার বদল হয় না কেন’, এই জিজ্ঞাসার জবাব রয়েছে এই সত্যের মাঝে। তাই, ‘সিসটেমের’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য ছাড়া সাধারণ মানুষের মুক্তি নেই। লড়াই চালাতে হবে সেই লক্ষ্যে।