আর কে রুবেলঃ
অবশেষে রাজধানীর উত্তরা বহু আলোচিত বিডিআর বাজারটি ভেঙ্গে দিল রাজউক বাজারটি নিয়ে বহু জল্পনা কল্পনা ছিল উত্তরা বাসির। অবশেষে শেষ রক্ষা হলো না বাজারটির , ১১/০৫/২০২৩ তারিখ দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয় উত্তরা বিডিআর বাজার চাঁদাবাজদের দখলে নিয়ন্ত্রণ চলছে। বাজার থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে। এমনই একটি প্রতিবেদনের পর রাজউক নড়ে চড়ে বসে, ২৫/০৫ /২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার রাজউক বিডিআর বাজারটি ভাঙতে সক্ষম হয় এবং কোন বাধা ছাড়াই ভাঙতে সফল হয়।উত্তরা বিডিআর বাজারটি ২০০৭ সালে নির্মাণ করে বিডিআর তাদের পরিকল্পনা ছিল যাদের চাল নাই চুলা নাই তারাই শুধু এই বাজারে দোকান বরাদ্দ পাবে। প্রথমদিকে তাদের এই মানবিক কাজটি ভালোই ছিল, কিছুদিন পরে নিয়ন্ত্রণে চইলা যায় এলাকার কিছু প্রভাবশালী নেতাদের দখলে। বিডিআর বাজারটি সম্পূর্ণ নেতাদের দখলে ছিল বাজারটি নিয়ে নেতাদের মধ্যে ভাগাভাগি নিয়ে অনেক সময় তাদের মধ্যে মারামারি সৃষ্টি হতো ।
উত্তরা এই বিডিআর বাজারটিতে আনুমানিক ৪৬০টির মতো দোকান ছিল দোকান থেকে বাজারের মেটেনেন্স বাবদ ৪০ টাকা করে নেওয়া হত প্রতি দোকান থেকে তাতে টাকার অংক দাঁড়াতো ১৮৪০০ হাজার টাকা,প্রতিদিন যদি ১৮৪০০ টাকা আসে তাহলে মাসে টাকার পরিমাণ আসতো ৫৫২০০০ টাকা । এত টাকা কি এই বাজার মেনটেনেন্স বাবদ খরচ হত ভাবার বিষয় ছিল। এসব টাকা আসলে নেতাদের পকেটে চলে যেত। বিডিআর বাজারের কিছু কিছু দোকান ভাড়া দেওয়ার জন্য অগ্রিম বাবদ নেওয়া হত,৩০০০০, হাজার টাকা থেকে ৫০০০০, হাজার টাকা। ভাড়া বাবদ নেওয়া হত ৩০০০, হাজার টাকা থেকে ৬ ০০০, হাজার টাকা।
এই বিডিআর বাজারটির অনিয়ম নিয়ে অনেক মিডিয়ায় নিউজ প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু বাজারটি নিয়ম অনুযায়ী ফিরে আসেনি পরে রাজউক সিদ্ধান্ত নেয় মার্কেটটি ভাঙ্গার জন্য ইতিমধ্যের রাজউক সফলভাবে সম্পন্ন করলো। বাজারটি না ভাঙ্গার জন্য চাঁদাবাজরা কিছু কিছু লোকজন নিয়ে মানববন্ধন করছিল যাতে তাদের চাঁদাবাজি ঠিকমতো চলতে থাকে কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ, তবে আমরা মনে করি বিডিআর যে নিয়ম অনুযায়ী বাজারটি বানিয়েছিলেন তাদের নিয়ম মত বাজারটি চলবে। তাতে করে যাদের চাল নাই চুলা নাই তাদের আওতায় বাজারটি থাকবে। এবং যাতে এই বাজারটি বিডিআর পরিচালনা করে সেটাই দাবি জানাচ্ছি কারণ এটা শুধু গরিবের বরাদ্দ দেওয়া বাজার। তবে এই বিডিআর বাজারটি নিয়ে বর্তমানে একটি সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে বাজারটির কিছু অংশ নিরাপদে রাখা হয়েছে কিছু অংশ ভাঙ্গা হলো না। এ বিষয়ে কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। সঠিক তথ্য পেলে পুনরায় প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।