নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গত কয়েক মাস ধরেই চরম অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকছে পাকিস্তান। এই সমস্যা থেকে বাদ পড়েনি দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ও।
মঙ্গলবার (২৩ মে) এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, অর্থ সংকটে পড়েছে খাইবার পাকতুনখাওয়া প্রদেশের পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা পাচ্ছে না। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন দেওয়ার অর্থও তাদের কাছে নেই।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায় , বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাইস চ্যান্সেলর চিঠির মাধ্যমে পেশোয়ার উচ্চশিক্ষা বিভাগকে সংকটের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেছেন।
অর্থ সংকটের কারণে বর্তমানে খাইবার পাকতুনখাওয়ার প্রায় সব উন্নয়ন কার্যক্রমও বন্ধ রাখা হয়েছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, পেনশনের অর্থ দিতে এবং অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ কোটি রুপি প্রয়োজন। কিন্তু শিক্ষা কমিশন (এইচইসি) এই বাজেটের পুরো অর্থ ছাড় করেনি। এছাড়া শিক্ষার্থীরাও সময়মতো তাদের ফিস প্রদান করেননি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভাইস চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ কোটি রুপি ক্ষতি হয়েছে এবং প্রশাসন প্রায় ৩৫ কোটি রুপি ক্ষতির মুখে আছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি শিক্ষার্থীদের ফিসের ওপর নির্ভরশীল।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সংকট চলার মধ্যেই পেশোয়ারে আন্দোলন করেছেন স্কুল শিক্ষকরা। বেতন বৃদ্ধি এবং ভাতা পুনরায় চালু করার দাবিতে রাস্তায় নামেন তারা। এ বিক্ষোভের পর প্রদেশটির পুলিশ ২১৩ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।